তরিকুল ইসলামের যেসব স্মৃতি ভোলার নয়
- হারুন জামিল
- ২০ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:০৪
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তরিকুল ইসলাম আর নেই। গত ৪ নভেম্বর তার জীবনাবসান ঘটেছে।ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। জীবনের অন্তিম মুহূর্তগুলোতে তিনি রাজধানী ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, নাতি-নাতনীসহ আত্মীয়স্বজন যেমন রেখে গেছেন, ঠিক তেমনি রেখে গেছেন অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মী ও সুহৃদ। ৫ নভেম্বর যশোর ঈদগাহ ময়দানে ওই অঞ্চলের সর্ববৃহৎ নামাজে জানাজা শেষে তাকে কারবালা কবরস্থানে দাফন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্টসহ ক্রনিক রোগ-ব্যাধিতে ভুগছিলেন। তার দুটি কিডনিই অচল হয়ে গিয়েছিল। শেষ জীবনে পাকস্থলীতে ক্যান্সারের জীবাণু শনাক্ত হয়। জটিল এসব রোগ-ব্যাধিতে অনেকটা কাবু হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ফলে একদা মাঠ কাঁপানো জনপ্রিয় এ রাজনীতিবিদের শেষ সময়গুলো কেটেছে হাসপাতালের বিছানায় এবং নিজের বাসভবনে।
তরিকুল ইসলামের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বর যশোর শহরে। তার পিতা মরহুম আবদুল আজিজ ব্রিটিশ আমলে স্কুল ইন্সপেক্টর ছিলেন। পরে তিনি ব্যবসায়ে যুক্ত হন। আর মা নূরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। তারা চার ভাই দুুই বোন। ব্যক্তিজীবনে যশোর সরকারি সিটি কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে অবসরগ্রহণকারী নার্গিস বেগম তার সহধর্মিণী। তার দুই পুত্র শান্তনু ইসলাম সুমিত ও অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সুমিত ব্যবসায় নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আর অমিত পিতার উত্তরাধিকারী হিসেবে একই দলের রাজনীতিতে সক্রিয়। সুমিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ এবং অমিত প্রাণরসায়ন বিভাগের কৃতী গ্র্যাজুয়েট।
তরিকুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবন বর্ণাঢ্য। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবেই দেশবাসীর কাছে সুপরিচিত ছিলেন তিনি। ছিলেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য। ছিলেন চারবারের মন্ত্রী। বিএনপি যতবারই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করেছে তিনি ততবারই মন্ত্রী হয়েছেন। দলের দুর্দিনের কাণ্ডারি হিসেবেও তার রয়েছে গৌরবজনক ভূমিকা। তার শিক্ষাজীবন কেটেছে যশোর জিলা স্কুল, যশোর সরকারি এমএম কলেজ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে ছাত্র ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকেই মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
তরিকুল ইসলাম ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে নির্বাচিত হন যশোর এমএম কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ছিলেন অবিভক্ত ছাত্র ইউনিয়নের বৃহত্তর যশোর জেলার সভাপতি। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন এমএনএ আহমদ আলী সরদারের দায়ের করা মামলায় কিছু দিন কারাভোগ করেন। এমএম কলেজে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠাকালেও তিনি কারারুদ্ধ হয়েছেন। ১৯৬৮ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসেবে ৯ মাস কারাগারে কাটান। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতৃত্ব দেয়ায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। ১৯৭০ সালে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে শামিল হন মুক্তিযুদ্ধে। তখন তিনি ভারতে গমন করেন এবং একপর্যায়ে দেশে ফিরে মুক্তিযোদ্ধাদের করেন সংগঠিত।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে যশোর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালে হলেন যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরও বহুবার তিনি কারারুদ্ধ হয়েছেন। ভাসানী ন্যাপ থেকে জিয়াউর রহমানের জাগদল এবং অব্যবহিত পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করা হলে তিনি হলেন এর ৭৬ সদস্যবিশিষ্ট প্রথম আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। ১৯৭৯ সালে তিনি যশোর সদর আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অন্যতম স্পেশাল সেক্রেটারি ছিলেন। ১৯৮১ সালে তিনি সড়ক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৮২ সালে সেনাপ্রধান এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর তরিকুল গ্রেফতার হন এবং আটকাবস্থায় তার ওপর চরম নির্যাতন চালানো হয়। ১৯৯১ এবং ২০০১ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্য, খাদ্য, পরিবেশ ও বন, প্রভৃতি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ‘এক-এগারো’র সরকারের সময় তরিকুল ইসলাম আবার গ্রেফতার হয়ে প্রায় দেড় বছর কারাগারে কাটান। তিনি বিএনপির গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। কারাগার ও মাঠের রাজনীতিতে আমৃত্যু সক্রিয় ছিলেন এই রাজনীতিক।
তরিকুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবন বর্ণাঢ্য। তার জীবনের পরতে পরতে যেমন আত্মত্যাগ রয়েছে তেমনি, রয়েছে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত প্রতিবাদী জীবনের প্রতিচ্ছবি। ছিলেন আপাদমস্তক একজন রাজনীতিবিদ। এমন কর্মীবান্ধব নেতা আমাদের সমাজে বিরল। তার বক্তব্য মন্ত্রমুগ্ধের মতো কর্মীদের কাছে টানত। জীবনযাপনে ছিলেন সাদামাটা-অনাড়ম্বর। কোনো কাজে মনোনিবেশ করলে তিনি তা সম্পন্ন করায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতেন। ছাত্রজীবনে তিনি বামপন্থী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন। পরে মওলানা ভাসানীর অনুসারী হিসেবে ন্যাপের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য তীব্র আকাক্সক্ষা তার মনের মধ্যে কাজ করত এবং মনেপ্রাণে গণতন্ত্রী ছিলেন। অকপটে সত্য উচ্চারণে তার মতো ব্যক্তি আজ বিরল। এতে অনেক সময় তিনি অনেকের কাছে অপ্রিয় হয়ে যেতেন। কিন্তু নিজের বিশ্বাস থেকে সরতেন না। যুক্তি দিয়ে কোনো কথা উপস্থাপন করলে সেটাকে গ্রহণ করতে তার মধ্যে কোনো দ্বিধা ছিল না। মানবতার মুক্তি, কল্যাণ ও সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অভিলাষী ছিলেন। তরিকুল ইসলামের সান্নিধ্য যারা পেয়েছেন, যারা তার সাথে মিশেছেন, তারা সবাই তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। কপটতা ও অসততার বিপরীত ধারার মানুষ ছিলেন তিনি।
একবার জাতীয় এক নির্বাচনে এলাকার মানুষের জন্য কিছু উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিশ্রুতি চাওয়া হয় তরিকুলের কাছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিতে চাননি। বলেছেন, ‘আমি এই এলাকার সন্তান। যখনই এলাকার কোনো কাজের সুযোগ পেয়েছি, করেছি। ভবিষ্যতেও করব।’ কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করার পক্ষপাতি আমি নই। এসব এলাকা চিনি এবং এখানকার সমস্যা-চাহিদা সম্পর্কে জানি। আমি নিজের দায়িত্ব পালন করব। তিনি বলতেন, যারা স্বৈরাচারী তাদের জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দেয়ার প্রয়োজন হয়। দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রীদের সেটার প্রয়োজন হয় না। কারণ তাদের রাজনীতি জনকল্যাণেই হয়ে থাকে।’
তিনি ছিলেন দলের নীতি ও আদর্শের প্রতি অবিচল একজন ত্যাগী নেতা। তৃণমূল থেকে রাজনীতিতে উঠে এসেছেন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের দুঃখ-বেদনায় শরিক হতেন। নেতাকর্মীরাও তার কাছে ছুটে আসতেন। তিনি খোঁজখবর রাখতেন সবার। তাদের সমস্যার সমাধান করতেন। খুলনা বিভাগ তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে তরিকুল ইসলাম এ কারণে জনপ্রিয়তার প্রতীকে পরিণত হন। দলের অভ্যন্তরে তিনি একজন ব্যতিক্রমী নেতা ছিলেন। সে ফোরামেও তিনি স্পষ্ট কথা বলতেন। বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম আবদুল মান্নান ভূঁইয়া তার ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনের সময় তিনি যখন দেখলেন, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া বেগম খালেদা জিয়া এবং জিয়া পরিবারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তিনি এর প্রতিবাদ জানান। তরিকুল স্পষ্টভাবে বললেন, দলের সংস্কার প্রয়োজন হলে তা বেগম জিয়াকে সাথে নিয়েই করতে হবে। খালেদা কিংবা জিয়া পরিবারের বাইরে কোনো সংস্কার গ্রহণযোগ্য নয়।
জিয়া পরিবার ভিন্ন বিএনপির কোনো অস্তিত্ব নেই।’ তিনি সেই যে প্রতিবাদ করে চলে আসেন আর কখনোই ভূঁইয়াদের সাথে যাননি। এ প্রতিবাদের কারণে তিনি কারারুদ্ধ হয়ে চরম মূল্য দেন। তিনি ছিলেন সাহসী মানুষ। সাহস করেই স্পষ্ট কথা বলতেন। ফলে অনেকেই তাকে সমীহ করে চলতেন। তার পরিমিতিবোধ ছিল অসাধারণ। বাহুল্য, কিংবা অতিরঞ্জন করতেন না। তিনি বলতেন, রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা লাভের জন্য শর্টকার্ট কোনো রাস্তা নেই। ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং ধৈর্য ছাড়া রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। কথাবার্তা বলার ক্ষেত্রে তার নিজস্ব একটা স্টাইল ছিল। খুব আপন মানুষদের বকাঝকা করতেন। কিন্তু যাকে তিনি বকতেন, তার জন্য করতেন বেশি। দেখে খুব রাশভারী প্রকৃতির মানুষ মনে হলেও আসলে কোমল স্বভাবের ছিলেন। তার ছিল নরম একটি হৃদয়।
ওয়ান-ইলেভেনের সময় তরিকুল ইসলাম যখন কারারুদ্ধ, তখন আটক সব বন্দীর কাছেই তিনি ছিলেন সান্ত্বনার প্রতীক। সবাই তার কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন এবং তিনিও সবাইকে সান্ত্বনা দিতেন। মানবমুক্তি ও সাম্যবাদ তাকে গভীরভাবে আকৃষ্ট করত। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নে তার ভাবনা ছিল বাস্তবমুখী। বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হওয়ার পর বহু প্রলোভন তাকে দেখানো হয়েছে। কিন্তু কখনোই সেসব প্রলোভনের কাছে নত হননি। আমৃত্যু এই দলকে নিয়েই স্বপ্ন দেখেছেন, এ দলের জন্যই আজীবন লড়াই করেছেন। প্রতিপক্ষকে কখনোই হেয়প্রতিপন্ন কিংবা গালমন্দ করতেন না। বিএনপিই ছিল তার স্বপ্নও ধ্যান-জ্ঞান। বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কাছে এ কারণেই তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। রাজনীতিকে নিজের প্রতিষ্ঠার উপায় হিসেবে দেখতেন না। বলতেন, রাজনীতি কখনোই নিজেকে প্রতিষ্ঠার মাধ্যম হতে পারে না। বরং এটা চর্চার বিষয়। তরিকুল ইসলাম কর্মীদের সাথে মিশতেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরতেন। সাধারণ মানুষের খোঁজখবর রাখতেন। তিনি ড্রইংরুমের রাজনীতিক ছিলেন না। শ্রমিক-কৃষক-খেটে খাওয়া মানুষের নেতা ছিলেন।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে একদিন বাজারে পলিথিন আটকের অভিযানে বের হন তিনি। রাজধানীর কাওরানবাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বহু পলিথিন শপিং ব্যাগ উদ্ধারের পর পুলিশ সবাইকে আটক করে। তরিকুল ইসলাম ক্ষুদ্র ওইসব ব্যবসায়ীকে মুচলেকা নিয়ে কান ধরে উঠ-বস করিয়ে ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, এরা গরিব মানুষ; ছোট ব্যবসায়ী। পলিথিন এরা বানায় না। যারা পলিথিন বানায়, তাদের জেল দেয়া যায়। কিন্তু গরিব মানুষ জেলে গেলে ওদের সংসার নষ্ট হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে ওরা আরো বড় অপরাধী হবে। আমি তা হতে দিতে পারি না।’
মরহুমের জীবনের ওপর এ ক্ষুদ্র পরিসরে আলোচনা সম্ভব নয়। তিনি যে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন তার প্রমাণ মিলেছে মৃত্যুর পরও। ঢাকায় তিন দফা জানাজার পর যশোরে এ যাবৎকালের বৃহত্তম স্মরণীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় তার। দলমত নির্বিশেষে লাখো মানুষ শরিক হন এতে। জীবনের শেষ সময়টাতে এ রাজনীতিবিদের সময় কেটেছে হাসপাতালের বিছানায়। কখনো হুঁশ কখনো বেহুঁশ অবস্থার মধ্যে একদিন রাতে তার কাছে পৌঁছাই। ‘ভাই’ বলে ডাক দিতেই চোখ মেলে তাকালেন তিনি। আমাকে চিনতে পেরেছেন কি না জানতে চাইলাম। বললেন, ‘হ্যাঁ, তুমি হারুন’। এরপর বললেন, ‘দেশের খবর কী’ বলো।’ বললাম, ভাই! সবাই ভালো আছে। খবরও ভালো। তিনি বললেন, আমার জন্য দোয়া করতে বলবা সবাইকে। তখন তার চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। তার সাথে জীবনে বহুদিন ঘুরেছি। ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ পেয়েছি।
দরদভরা মন নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। ছুটে এসেছেন বিপদ-আপদে, সুখে-দুঃখে। এই জীবনটাতে তিনি নিজেকে তুলে ধরেছেন ত্যাগী, সাহসী একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে; একজন দায়িত্বশীল, দরদি মানুষ হিসেবে। কোনো মৃত্যুরই ক্ষতিপূরণ হয় না। তরিকুল ইসলামের মতো রাজনীতিবিদের ক্ষেত্রে তা আরো সত্য। মহান আল্লাহ এই দরদি মানুষটিকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন এবং তার সব গোনাহ মাফ করে দিন।
লেখক : সাংবাদিক